যশোরসহ দেশের ১৮ অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এসব অঞ্চলের নদীবন্দরকে সতর্ক সংকেতও দেখাতে বলেছে। এরমধ্যে যশোরাঞ্চলে শুক্রবার থেকে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ শনিবার বিকেলের বৃষ্টিতে যশোর শহরের বসন্ত কুমার সড়ক, নীলরতন ধর রোড ও গুরুদাস বাবুলেন (পাইপপট্টি), পিটিআই ও টিবি ক্লিনিকপাড়ার অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাগাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলর উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে খুব সহসাই বৃষ্টি বন্ধ হচ্ছে না। বরং আরও কয়েকদিন এমন প্রবণতা অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে যশোরাঞ্চলে গত দুদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ বিকেলের বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় সড়ক ডুবেছে পানির নিচেই। বেশকিছু বস্তিসহ নিন্মাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। প্রায় শত কোটি টাকায় নির্মিত ড্রেন প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে। পানি সরছে ধীরগতিতে। স্থানীয়রা বলছেন ওয়াটার লেবেল ঠিক না রেখে তড়িঘড়ি করে ড্রেন নির্মাণ করায় পানি সরে না। উল্টো পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। এরফলে জনদুর্ভোগ নেমে আসে অল্প বৃষ্টিতেই। এনিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই।
Leave a Reply