ম্যুরালটি পরিপূর্ণ রূপ লাভ করে ২০১২ সালের শেষের দিকে। ম্যুরাল স্থাপনে ব্যয় হয় ২৯ লাখ ৯ হাজার ৯৫ টাকা। এ সম্পূর্ণ টাকা যশোরের ব্যবসায়ী মহল ও সাধারণ মানুষের অনুদান থেকে সংগৃহীত। ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
এদিকে, গণঅভ্যুত্থানে পতনের পর পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার অনলাইনে ভাষণের ঘোষণা দেয়ার প্রতিবাদে বুধবার রাতে যশোরে ৭টি স্থানে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর করা হয়। এদিন রাত সাড়ে ১১ টা থেকে শুরু করে মধ্যে রাত পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা ছাতুড়ি দিয়ে ভাংচুর করেন। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা প্রথমে যশোর পৌরসভার ভিতরে শেখ মুজিবর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়। এরপর মোটরসাইকেল স্লোগান দিতে দিতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, জেলা পরিষদের ভিতরে ম্যুরাল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেখ হাসিনার স্মৃতিফলক, মণিহার বিজয় স্তম্ভের প্রাচীরে মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের দৃশ্যপট খোদাই করা ভাস্কর্য ভাংচুর করে। সেখান থেকে বিক্ষুব্ধ জনতা সদর উপজেলা পরিষদের ভিতরে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়। এছাড়া অভয়নগর, ঝিকরগাছা, কেশবপুরে উপজেলা পরিষদের ভাস্কর্য ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটে।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, ‘কয়েকটি স্থানে ভাংচুর হয়েছে বলে শুনেছি। কে বা কারা করেছে সেটা জানা নেই। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।’
আর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply