যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদাহ গ্রামে নাজমা খাতুন (৩৫) হত্যার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের পিতা মশিউর রহমান (৬৭) বাদি হয়ে নাজমার সাবেক স্বামী সালাউদ্দিনকে (৩৯) আসামি করে মামলাটি করেন। সালাউদ্দিন একই গ্রামের মিয়াপাড়ার আলাউদ্দিন গাজীর ছেলে। এদিকে সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে সালাউদ্দিন নিজেও ওই রাতে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেন। শুক্রবার রাতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
মশিউর রহমান এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে নাজমার সাথে ১৯ বছর আগে সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বৈবাহিক জীবনে তাদের তিনটি সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে নাজমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো সালাউদ্দিন। সম্প্রতিকালে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে নাজমা তার স্বামীকে তালাক দিয়ে তার বাড়ি (পিতার বাড়ি) চলে আসে। সেই থেকে সালাউদ্দিন নানা ভাবে নাজমাকে হুমকি ধামকি দিতো। নাজমা তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে তার বাড়িতে বসবাস করছিলো। এবং একটি গাভী কিনে তা লালন পালন করছিলো। গত শুক্রবার সকালে নাজমা স্থানীয় কামরুজ্জামানের মিকুল ব্রিকসের পাশে গাভীটি বেঁধে রেখে আসে এবং বেলা সাড়ে আড়াইটার দিকে গাভীটি আনতে যায়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। শিলা খাতুন নামে এক প্রতিবেশি বিকেল ৩টার দিকে বাড়িতে এসে জানায় নাজমার গলাকাটা লাশ ব্রিকসের পাশে পড়ে আছে। এরপর তিনি ও পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে নাজমার লাশ দেখতে পান। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে পুলিশে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার ধারণা সালাউদ্দিন তার মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হাসান মাহমুদ জানিয়েছেন, ঘটনার পরই সালাউদ্দিন গোয়ালদাহ গ্রামের একটি দোকানের পাশে বসে কীটনাশক পান করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত ১১টার দিকে সালাউদ্দিন মারা যান। পরে তার ভাই মরদেহ ঝিকরগাছা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামে নিয়ে যান। শনিবার সেখানেই তার লাশ দাফন হয়।
Leave a Reply